ভিভো সম্প্রতি বাজারে নিয়ে এসেছে তাদের নতুন স্মার্টফোন Vivo T4, যা ২০২৫ সালের ২৯ এপ্রিল রিলিজ হয়েছে। এটি একটি শক্তিশালী মিডরেঞ্জ স্মার্টফোন, যার দাম শুরু হয়েছে আনঅফিশিয়ালি প্রায় ৩১,৫০০ টাকা থেকে। ফোনটিতে আছে ৮ জিবি RAM এবং ১২৮ বা ২৫৬ জিবি স্টোরেজ অপশন। এছাড়াও এতে পাওয়া যাচ্ছে ৫০+২ মেগাপিক্সেলের ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা, ৩২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা, এবং বিশাল ৭৩০০ mAh ব্যাটারি যা ৯০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। ফোনটির ৬.৭৭ ইঞ্চির বড় ডিসপ্লে, IP65 স্প্ল্যাশপ্রুফ রেটিং, Wi-Fi 6, এবং Bluetooth 5.2 প্রযুক্তি এটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এটি একটি ভালো পারফরম্যান্স এবং লম্বা ব্যাটারি ব্যাকআপ খুঁজছেন এমন ব্যবহারকারীদের জন্য চমৎকার একটি পছন্দ হতে পারে।

Vivo T4 এর দাম কত
vivo t4 এই মোবাইলটি ,আশা করা যাচ্ছে বাংলাদেশে, আনঅফিশিয়াল ভাবে ৩১ হাজার ৫০০ টাকার মত হবে।
Vivo T4 Overview
নতুন Vivo T4 হলো একটি আধুনিক ও শক্তিশালী স্মার্টফোন, যা ২০২৫ সালের ২৯ এপ্রিল বাজারে এসেছে। এই ফোনটি মিড-রেঞ্জ বাজেটের মধ্যে ব্যবহারকারীদের জন্য অনেক আধুনিক ফিচার নিয়ে এসেছে। যারা ভালো পারফরম্যান্স, বড় ব্যাটারি, সুন্দর ক্যামেরা এবং উন্নত ডিসপ্লে চাচ্ছেন, তাদের জন্য Vivo T4 হতে পারে একটি দারুণ পছন্দ।
প্রথমেই কথা বলি এই ফোনের ডিজাইন ও ডিসপ্লে নিয়ে। Vivo T4 এ আছে ৬.৭৭ ইঞ্চির বিশাল AMOLED ডিসপ্লে, যার রেজোলিউশন ১০৮০x২৩৯২ পিক্সেল এবং রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্টজ। এর স্ক্রিন ব্রাইটনেস ৫০০০ নিটস পর্যন্ত, যা সরাসরি সূর্যের আলোতেও পরিস্কার দেখা যায়। স্ক্রিনে আছে Shield Glass প্রযুক্তি, যা এটিকে স্ক্র্যাচ ও ছোটখাটো ধাক্কা থেকে সুরক্ষা দেয়। সামনে পাঞ্চ-হোল ডিজাইন থাকায় ফোনটি দেখতে বেশ স্টাইলিশ।
ফোনটির ক্যামেরা সেকশনও যথেষ্ট শক্তিশালী। পিছনে আছে ৫০ মেগাপিক্সেল + ২ মেগাপিক্সেল ডুয়াল ক্যামেরা সেটআপ, যেখানে প্রধান ক্যামেরায় আছে OIS (Optical Image Stabilization) ও এলইডি ফ্ল্যাশ। ছবি তোলার জন্য এতে রয়েছে HDR, ফেস ডিটেকশন, টাচ টু ফোকাস এবং আরও অনেক ফিচার। ভিডিও রেকর্ডিং করা যায় ৪কে (3840×2160) রেজোলিউশনে। সামনের দিকে আছে ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা, যেটি ৪কে ভিডিও রেকর্ডিং সাপোর্ট করে এবং ফটো কোয়ালিটিও অনেক ভালো।
পারফরম্যান্সের দিক থেকে Vivo T4 এসেছে নতুন Snapdragon 7s Gen 3 চিপসেট দিয়ে, যা ৪ ন্যানোমিটার প্রযুক্তিতে তৈরি। এতে ৮ কোরের CPU এবং Adreno 710 GPU ব্যবহার করা হয়েছে, যা মোবাইল গেমিং ও মাল্টিটাস্কিং এর জন্য খুবই উপযোগী। ফোনটিতে আছে ৮ জিবি LPDDR4X RAM এবং UFS 2.2 স্টোরেজ সিস্টেম, যার ফলে অ্যাপ চালানো ও ফাইল লোডিং অনেক দ্রুত হয়। এই ফোনটি Android 15 এবং Funtouch OS 15 ইন্টারফেসে চলে, যা খুবই স্মুথ এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি।
ব্যাটারি পারফরম্যান্স হলো Vivo T4 এর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। এতে আছে বিশাল ৭৩০০ mAh ব্যাটারি, যা সহজে একদিনের বেশি চলতে পারে। সঙ্গে রয়েছে ৯০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং, ৫৫W PPS ও ৪৪W UFCS চার্জিং সুবিধা, এবং ৭.৫W রিভার্স চার্জিং সাপোর্ট। ফলে আপনি এই ফোন দিয়ে অন্য ডিভাইসও চার্জ দিতে পারবেন।
অন্য ফিচারের মধ্যে আছে 5G সাপোর্ট, Wi-Fi 6, Bluetooth 5.2, ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ফেস আনলক, এবং বিভিন্ন সেন্সর যেমন অ্যাক্সিলেরোমিটার, জাইরো, কম্পাস ইত্যাদি। ফোনটি IP65 রেটিং যুক্ত, মানে এটি পানি ও ধুলার থেকে আংশিক সুরক্ষিত।
সব মিলিয়ে, Vivo T4 একটি দারুণ অলরাউন্ডার ফোন, যার পারফরম্যান্স, ব্যাটারি, ক্যামেরা এবং ডিজাইন সব কিছুই একসাথে খুব ভালোভাবে মিলিয়ে দেয়া হয়েছে। যারা ৩০-৩৫ হাজার টাকার মধ্যে ভালো একটি স্মার্টফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি হতে পারে একটি দুর্দান্ত চয়েস।
ভিভো টি৪ এর সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশন
ক্যাটেগরি | বিবরণ |
---|---|
মডেল | Vivo T4 |
রিলিজ তারিখ | ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |
অবস্থা | বাজারে উপলব্ধ |
দাম (বাংলাদেশে) | ৳৩১,৫০০ (৮GB+১২৮GB), ৳৩৪,৫০০ (৮GB+২৫৬GB) (অনার্সরিত) |
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার
ফিচার | বিবরণ |
---|---|
অপারেটিং সিস্টেম | Android v15 |
ইউজার ইন্টারফেস | Funtouch OS 15 |
চিপসেট | Qualcomm Snapdragon 7s Gen 3 |
প্রসেসর (CPU) | অক্টা-কোর (1×2.5 GHz + 3×2.4 GHz + 4×1.8 GHz) |
জিপিইউ (GPU) | Adreno 710 (940 MHz) |
আর্কিটেকচার | ৬৪-বিট, ৪nm |
ডিসপ্লে
ফিচার | বিবরণ |
---|---|
ডিসপ্লে টাইপ | AMOLED |
স্ক্রিন সাইজ | ৬.৭৭ ইঞ্চি |
রেজোলিউশন | ১০৮০ x ২৩৯২ পিক্সেল |
পিক্সেল ঘনত্ব | ৩৮৮ ppi |
রিফ্রেশ রেট | ১২০ Hz |
ব্রাইটনেস | ৫০০০ নিট |
স্ক্রিন সুরক্ষা | Shield Glass |
ডিসপ্লে ডিজাইন | পাঞ্চ-হোল, বেজেল-লেস |
ক্যামেরা
ফিচার | বিবরণ |
---|---|
রিয়ার ক্যামেরা | ডুয়াল: ৫০ MP (f/1.8, OIS) + ২ MP (f/2.4) |
ক্যামেরা ফিচার | HDR, ডিজিটাল জুম, ফেস ডিটেকশন, টাচ টু ফোকাস |
ভিডিও রেকর্ডিং | ৪কে @ ৩০fps, ১০৮০p @ ৩০fps |
ফ্রন্ট ক্যামেরা | ৩২ MP (f/2.0), ৪কে ভিডিও রেকর্ডিং সাপোর্ট |
ব্যাটারি ও চার্জিং
ফিচার | বিবরণ |
---|---|
ব্যাটারি ক্যাপাসিটি | ৭৩০০ mAh (Li-Ion) |
ফাস্ট চার্জিং | ৯০W Wired, ৫৫W PPS, ৪৪W UFCS |
রিভার্স চার্জিং | ৭.৫W |
ব্যাটারি টাইপ | নন-রিমুভেবল |
চার্জিং পোর্ট | USB Type-C 2.0 |
মেমোরি
ফিচার | বিবরণ |
---|---|
RAM | ৮ GB (LPDDR4X) |
ইন্টারনাল স্টোরেজ | ১২৮ GB / ২৫৬ GB (UFS 2.2) |
USB OTG | সাপোর্ট করে |
কানেক্টিভিটি
ফিচার | বিবরণ |
---|---|
নেটওয়ার্ক | ২G, ৩G, ৪G, ৫G |
SIM টাইপ | ডুয়াল সিম (Nano + Nano) |
Wi-Fi | Wi-Fi 6 (5GHz, MIMO) |
Bluetooth | v5.2 |
জিপিএস | A-GPS, Glonass |
ইনফ্রারেড | আছে |
USB | USB চার্জিং ও স্টোরেজ |
ডিজাইন
ফিচার | বিবরণ |
---|---|
উচ্চতা | ১৬৩.৪ মিমি |
প্রস্থ | ৭৬.৪ মিমি |
পুরুত্ব | ৭.৯ মিমি |
ওজন | ১৯৯ গ্রাম |
রঙ | Emerald Blaze, Phantom Grey |
জল/ধুলা প্রতিরোধ | IP65 রেটিং, স্প্ল্যাশপ্রুফ, ডাস্টপ্রুফ |
সেন্সর ও নিরাপত্তা
ফিচার | বিবরণ |
---|---|
ফিঙ্গারপ্রিন্ট | অন-স্ক্রিন, অপটিকাল |
ফেস আনলক | সাপোর্ট করে |
অন্যান্য সেন্সর | আলো সেন্সর, প্রক্সিমিটি, অ্যাক্সিলেরোমিটার, কম্পাস, জাইরোস্কোপ |
ভালো দিক সুবিধা
- বিশাল ব্যাটারি (৭৩০০ mAh):
একবার চার্জে সহজেই ১.৫-২ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা সম্ভব। দীর্ঘ সময় গেম, ভিডিও বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটানোর জন্য আদর্শ। - ৯০W ফাস্ট চার্জিং:
খুব অল্প সময়ে ফোন ফুল চার্জ হয়ে যায়, সঙ্গে রয়েছে ৫৫W PPS ও ৭.৫W রিভার্স চার্জিং সাপোর্ট। - বড় ও উজ্জ্বল AMOLED ডিসপ্লে:
৬.৭৭ ইঞ্চির FHD+ স্ক্রিন, ১২০Hz রিফ্রেশ রেট ও ৫০০০ নিটস ব্রাইটনেস – যা গেমিং, ভিডিও দেখা ও স্ক্রলিংয়ে চমৎকার অভিজ্ঞতা দেয়। - শক্তিশালী ক্যামেরা সেটআপ:
৫০ MP রিয়ার ক্যামেরা ও ৩২ MP ফ্রন্ট ক্যামেরা, ৪কে ভিডিও সাপোর্ট সহ। ওআইএস থাকায় ভিডিওতে কম কাঁপুনি হয়। - উন্নত প্রসেসর (Snapdragon 7s Gen 3):
ভালো পারফরম্যান্স ও পাওয়ার এফিশিয়েন্ট। মাল্টিটাস্কিং, গেমিং এবং অ্যাপ চালাতে খুবই উপযোগী। - অন-স্ক্রিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফেস আনলক:
আধুনিক ও নিরাপদ বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি। - Wi-Fi 6 ও Bluetooth 5.2:
দ্রুত ইন্টারনেট ও ডিভাইস কানেকশন সুবিধা। - IP65 রেটিং:
পানির ছিটা ও ধুলাবালি থেকে আংশিক সুরক্ষা – দৈনন্দিন ব্যবহারে কার্যকর।
দুর্বল দিক অসুবিধা
- প্লাস্টিক বডি
টেকসই হলেও প্রিমিয়াম “ফ্ল্যাগশিপ” ফিলিং অনেকের কাছে নাও লাগতে পারে (উল্লেখ নেই যে এটি গ্লাস বা মেটাল ব্যাক)। - মেমোরি কার্ড স্লট নেই:
এক্সটারনাল স্টোরেজ বাড়ানোর সুযোগ নেই, শুধুমাত্র ১২৮GB বা ২৫৬GB স্টোরেজেই সীমাবদ্ধ। - ক্যামেরায় টেলিফটো লেন্স নেই:
জুম বা পোর্ট্রেট ফটোর জন্য কিছুটা সীমাবদ্ধতা হতে পারে। ম্যাক্রো সেন্সর বা আল্ট্রাওয়াইড অপশনও নেই। - eSIM সাপোর্টের অনুপস্থিতি:
ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি মিসিং ফিচার হতে পারে। - ৩.৫ মিমি অডিও জ্যাক নেই:
যারা ওয়্যার্ড হেডফোন ব্যবহার করেন তাদের জন্য বাড়তি অ্যাডাপ্টার দরকার হবে।
Vivo T4 ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা অনেকটাই ইতিবাচক হতে পারে, বিশেষ করে যারা মিড-রেঞ্জ বাজেটে একটি পারফরম্যান্স-ভিত্তিক এবং ব্যাটারি-ফোকাসড ফোন খুঁজছেন তাদের জন্য। নিচে সম্ভাব্য ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা বিভিন্ন দিক থেকে বিশ্লেষণ করে দেওয়া হলো:
ব্যাটারি ও চার্জিং অভিজ্ঞতা
- ব্যাটারি লাইফ: বিশাল ৭৩০০ mAh ব্যাটারির কারণে একবার চার্জ দিলে পুরো দিন তো চলবেই, মাঝারি ব্যবহারে ২ দিনও পেতে পারেন। গেমিং বা ভিডিও দেখা হলেও ব্যাটারি দ্রুত শেষ হবে না।
- চার্জিং স্পিড: ৯০W ফাস্ট চার্জিং থাকার ফলে ৩০-৪৫ মিনিটেই প্রায় ফুল চার্জ হয়ে যাবে — এটি দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবনে অনেক সুবিধাজনক।
ডিসপ্লে ও ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা
- AMOLED ডিসপ্লে, ১২০Hz রিফ্রেশ রেট, এবং ৫০০০ নিট ব্রাইটনেস — সব মিলিয়ে ডিসপ্লে এক কথায় অসাধারণ।
- ভিডিও স্ট্রিমিং, সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল, কিংবা গেম খেলার সময় ভিজ্যুয়াল খুবই স্মুথ ও চোখ ধাঁধানো হবে।
পারফরম্যান্স ও গেমিং অভিজ্ঞতা
- Snapdragon 7s Gen 3 চিপসেট + ৮GB RAM থাকার ফলে হেভি গেমিং (PUBG, Free Fire, Call of Duty) স্মুথ চলবে।
- মাল্টিটাস্কিং বা অনেক অ্যাপ একসাথে চালানোতেও কোনো ল্যাগ হবে না।
ব্যবহারকারীর মতামত হতে পারে:
“গেম খেলি অনেকক্ষণ, ফোন গরমও হয় না, ল্যাগও করে না।”
ক্যামেরা পারফরম্যান্স
- রিয়ার ক্যামেরায় ৫০MP সেন্সর থাকলেও শুধুমাত্র ডুয়াল সেটআপ (২MP depth sensor) থাকায় খুব ভ্যারাইটি ফটো তোলা সম্ভব না।
- তবে OIS ও ৪কে ভিডিও রেকর্ডিং সাপোর্ট থাকায় ভিডিওতে স্টেবিলিটি ভালো থাকবে।
- সেলফি ক্যামেরা (৩২MP) খুবই ডিটেইলড ছবি তুলতে সক্ষম।
ব্যবহারকারীর মতামত হতে পারে:
“সেলফি ফটো খুব পরিষ্কার আসে, তবে আল্ট্রা-ওয়াইড থাকলে আরও ভালো হতো।”
নিরাপত্তা ও সফটওয়্যার
- অনস্ক্রিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফেস আনলক খুবই দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য।
- Android 15 + Funtouch OS 15 ইউজার ইন্টারফেস অনেক স্মুথ ও ক্লিন — তবে কিছু প্রি-ইনস্টলড অ্যাপ থাকায় সেটিংস কাস্টমাইজ করতে হতে পারে।
ব্যবহারকারীর মতামত হতে পারে:
“ফিঙ্গারপ্রিন্ট ফুড়িতেই খুলে যায়, ইউজার ইন্টারফেসও খুব ক্লিন।”
সাউন্ড ও মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতা
- স্টেরিও স্পিকার না থাকলেও সাউন্ড কোয়ালিটি ভালো।
- ৩.৫mm হেডফোন জ্যাক না থাকায় ইউএসবি-সি হেডফোন বা অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করতে হবে।
ব্যবহারকারীর মতামত হতে পারে:
“সাউন্ড ভালোই, কিন্তু হেডফোন জ্যাক থাকলে আরও সুবিধা হতো।”
সারসংক্ষেপে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা:
দিক | অভিজ্ঞতা |
---|---|
ব্যাটারি | দুর্দান্ত, দীর্ঘস্থায়ী |
চার্জিং | খুব দ্রুত |
ডিসপ্লে | প্রিমিয়াম মানের, রিচ কালার ও স্মুথ স্ক্রল |
পারফরম্যান্স | স্মুথ গেমিং ও মাল্টিটাস্কিং |
ক্যামেরা | ভালো ছবি ও ভিডিও, তবে ক্যামেরা অপশন সীমিত |
সফটওয়্যার | আপডেটেড ও ইউজার ফ্রেন্ডলি |
সাউন্ড | মানসম্মত, তবে স্টেরিও নয় |
উপসংহার:
সব দিক বিবেচনায়, Vivo T4 একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন যা বিশেষ করে ব্যাটারি ব্যাকআপ, দ্রুত চার্জিং, উজ্জ্বল AMOLED ডিসপ্লে এবং চমৎকার পারফরম্যান্স এর কারণে সহজেই ব্যবহারকারীদের মন জয় করতে পারে। গেম খেলা, ভিডিও দেখা, কিংবা দৈনন্দিন ব্যবহার — সব ক্ষেত্রেই এটি একটি নির্ভরযোগ্য পারফর্মার।
তবে কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে, যেমন ক্যামেরায় অতিরিক্ত লেন্স না থাকা, মেমোরি কার্ড ব্যবহারের সুযোগ না থাকা এবং হেডফোন জ্যাকের অনুপস্থিতি। এই দিকগুলো যদি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ না হয়, তবে Vivo T4 আপনার জন্য একটি চমৎকার পছন্দ হতে পারে।